ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৬ বছর নিজ উপজেলায় চাকুরীর অভিযোগ, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট সময় : ২০২৫-০৮-০২ ১৯:৪১:১৪
১৬ বছর নিজ উপজেলায় চাকুরীর অভিযোগ, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ১৬ বছর নিজ উপজেলায় চাকুরীর অভিযোগ, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।


নিজস্ব প্রতিবেদক

ময়মনসিংহের ভালুকায় এক উপ সহকারী কৃষি অফিসারের বিরুদ্ধে নিয়ম বর্হিভুত ভাবে নিজ উপজেলায় ১৬ বছর যাবৎ চাকুরীর অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে উপজেলার মাহমুদ গ্রামের বাসিন্ধা হাবিবুল্লাহ বাহার তার চাচা সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এম আমান উল্লাহ'র সুপারিশে উপ সহকারী কৃষি অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।   


অভিযোগ রয়েছে, হাবিবুল্লাহ বাহার বিরুনীয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদ পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সহ-সভাপতি তিনি। আওয়ামীলীগ সরকার পালিয়ে গেলেও কমেনি তার ক্ষমতার দাপট। থাকেন কৃষি অফিসের  ফ্রি কোয়াটারে।


বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিনি ১৬ বছর যাবৎ বিনা বরাদকৃত একটি মোটরসাইকেল পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন। তার বিরুদ্ধে কৃষি প্রণোদনা বীজ, সার এবং কৃষি ভর্তুকি যন্ত্রপাতি বিতরণে আওয়ামী প্রেমীর বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও গেলো বোরো মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা বিতরনে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ থাকলেও কৃষি অফিসার তা ধামাচাপা দিয়েছিলেন।


একজন সরকারি অফিসার কি ভাবে নিজ উপজেলায় ১৬ বছর চাকুরী করছেন তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। হাবিবুল্লাহ বাহারের অপসারণ চেয়ে কাউসার আহাম্মেদ নামের এক ব্যক্তি অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


হাবিবুল্লাহ বাহারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলমান বলেও জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে হাবিবুল্লাহ বাহার আওয়ামী পরিবার ছাড়া অন্য কাউকে কৃষি প্রণোদনা দেননা। গরিব কৃষক প্রণোদনা তো দুরের কথা টাকা না দিলে পাননা কাঙ্খিত সেবাও।   


স্থানীয়দের অভিযোগ, হাবিবুল্লাহ বাহারকে তার কর্ম এলাকার অধিকাংশ মানুষই চিনেনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, এক শতাংশ কৃষি জমি নাই এমন কিছু লোক কৃষি প্রণোদনা পায় অথচ যাদের ১ একরের অধিক কৃষি জমি রয়েছে তারা প্রণোদনা পাননা। তার স্বেচ্ছাচারিতা, অবহেলা ও গাফিলতির  কারণে ওই এলাকার কৃষকরা আছেন দুর্ভোগে। তাই এমন দূর্নীতিবাজ অফিসারকে যত দ্রুত সম্ভব অপসারণের দাবি সচেতন মহলের।


এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার নুসরাত জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। অভিযুক্ত হাবিবুল্লাহ বাহারের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।



 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ